একনজরে সিলেট জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে সিলেট । এই বিভাগটি যেমন ওলী আউলিয়ার জন্য বিখ্যাত ঠিক তেমনি এই সিলেট বিভাগটি সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত ।
আজকের আর্টিকেলে আমরা সিলেট সমন্ধে সকল কিছু জানবো ।
চলুন তাহলে জেনে নেই ।
![]() |
সিলেট জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য |
সিলেট জেলার অবস্থান
উত্তরে ভারতের খাসিয়া, জৈন্তিয়া পাহাড় (ভারতের মেঘালয় রাজ্য), দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা, পূর্বে ভারতের কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলা (ভারতের আসাম রাজ্য) ও পশ্চিমে সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলা
সিলেট জেলার নামকরণ
প্রাচীন বিভিন্ন গ্রন্থাদিতে এ অঞ্চলের (সিলেটের) বিভিন্ন নামের উল্লেখ আছে।
হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে শিবের স্ত্রী সতি দেবীর কাটা হস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে 'শ্রী হস্ত' হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম "সিরিওট" বলে উল্লেখ আছে। এছাড়া, খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে এলিয়েনের (Ailien) বিবরণে "সিরটে", এবং পেরিপ্লাস অব দ্যা এরিথ্রিয়ান সী নামক গ্রন্থে এ অঞ্চলের নাম "সিরটে" এবং "সিসটে" এই দুইভাবে লিখিত হয়েছে।
চীনা মানুষ—অতঃপর ৬৪০ খ্রিষ্টাব্দে যখন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তার ভ্রমণ কাহিনীতে এ অঞ্চলের নাম "শিলিচতল" উল্লেখ করেছেন। তুর্কি সেনাপতি
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজী দ্বারা বঙ্গবিজয়ের মধ্য দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটলে মুসলিম শাসকগণ তাদের দলিলপত্রে "শ্রীহট্ট" নামের পরিবর্তে "সিলাহেট", "সিলহেট" ইত্যাদি নাম লিখেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ মিলে। আর এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে একসময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন।
যখন "সিলেটে" "হযরত শাহ্ জালাল" আসেন তখন শত্রু পক্ষ তাকে এবং তার অনুসারী ৩৬০ আউলিয়াদেরকে "শিলা" বা "পাথর" দ্বারা আটকেে দিয়েছিল। তখন মহান আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে তিনি বলেন "শিলাহাট"(অর্থ্যাৎ- পাথর সরে যা)। তখন, তথখনাৎ পাথর গুলো সরে যায়। এই থেকে নাম রাখা হয় "শিলাহাট"। তারপর নাম সহজ করতে করতে হয় "শিলহাট", "সিলাহেট", "সিলেট (বর্তমানে)"।
এছাড়াও বলা হয়, এক সময় সিলেট জেলায় এক ধনী ব্যক্তির একটি কন্যা ছিল। তার নাম ছিল শিলা। ব্যক্তিটি তার কন্যার স্মৃতি রক্ষার্থে একটি হাট নির্মাণ করেন এবং এর নামকরণ করেন শিলার হাট। এই শিলার হাট নামটি নানাভাবে বিকৃত হয়ে সিলেট নামের উৎপত্তি হয়।
( তথ্য সুত্র : উইকিপিডিয়া )
সিলেট জেলার আয়তন
৩,৪৫২.০৭ বর্গ কি.মি বা ১৩৩২.০০ বর্গমাইল
সিলেট জেলার জনসংখ্যা
৩৫,৬৭,১৩৮ জন (২০১১)
(পুরুষ ১৭,৯৩,৮৫৮ জন এবং মহিলা ১৭,৭৩,২৮০ জন)
সিলেট জেলাতে যেযে উপজাতি বসবাস করে
মোট ১৭,৩৬৩ জন (আদম শুমারী ২০০১)
(প্রধানত মণিপুরি, পাত্র, খাসিয়া, চাকমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল)
সিলেট সংসদীয় আসন
সিলেট জেলাতে সংসদীয় আসন ০৬ টি
সংরক্ষিত আসন
:
০১ টি
সিলেট জেলার শিক্ষার হার
সিলেট জেলার শিক্ষার হার বর্তমানে ৫১.২ %
সিলেট বিভাগের জেলা সমূহ
সিলেট বিভাগের মোট জেলা চারটি ।
নিজে চাঁরটি জেলার নাম দেওয়া হলো :
1) সিলেট জেলা
2) সুনামগঞ্জ জেলা
3) হবিগঞ্জ জেলা
4) মৌলভীবাজার জেলা
সিলেট জেলার উপজেলা
সিলেট জেলায় উপজেলা মোট ১৩ টি ।
নিছে এগুলোর উপজেলার তালিকা দেওয়া হলো :
01) সিলেট
02) বিয়ানীবাজার
03) বিশ্বনাথ
04) কোম্পানীগঞ্জ
05) ফেঞ্চুগঞ্জ
06) গোলাপগঞ্জ
07) গোয়াইনঘাট
08) জৈন্তাপুর
09) জকিগঞ্জ
10) বালাগঞ্জ
11) দক্ষিণ সুরমা
12) কানাইঘাট
13) ওসমানীনগর
সিলেট বিভাগের দর্শণীয় স্থানসমূহ
সিলেটের দর্শনীয় স্থান
1) হযরত শাহজালাল (রঃ) এবং হযরত শাহপরাণ (রঃ) এর মাজার, সিলেট।
2) জাফলং , শ্রীপুর
3) তামাবিল,
4) ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী,
5) লাক্কাতুরা চা বাগান,
6) বিছনাকান্দি,
7) খাসিয়াপুঞ্জি,
8) জৈন্তার রাজবাড়ী, জৈন্তাপুর, সিলেট।
9) শ্রী চৈতন্যের জন্মস্থান, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।
10) রাতারগুল, গোয়াইনঘাট, সিলেট।
11) আলি আমজাদের ঘড়ি
সিলেটের প্রধান নদী
সিলেটের প্রধান নদী সমূহের মধ্যে সুরমা নদী সবথেকে দীর্ঘতম । সুরমা (৩৫০ কি.মি.), অপর বৃহৎ নদী হলো কুশিয়ারা, এছাড়াও রয়েছে সারি, পিয়াইন নদী ইত্যাদি ।
ট্যাগ সমূহ :