আশুরা কি - আশুরা কত তারিখে - আশুরার রোজা কয়টি - আশুরার আমল ও ফজিলত
আসসালামু আলাইকুম স্বাগত জানাচ্ছি আজকের এই নতুন আর্টিকেলে । আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো আশুরা কি ? 2022 সালের আশুরা কত তারিখে পালিত হবে । এবং আশুরার রোজা কয়টি রাখতে হবে । তাহলে চলুন দেখা নেই ।
![]() |
আশুরা কি - আশুরার আমল ও ফজিলত |
আশুরা কি
আরবি শব্দ আশরুন তথা দশ শব্দটি থেকে আশুরার শব্দের উৎপত্তি। মহররমের দশ তারিখকে সম্মানিত বলে পবিত্র আশুরা বলা হয়। মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ এ দিনটিকে কেউ দোয়া মুনাজাত আবার কেউ মাতমের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। এদিনটি আসমানী কিতাবসমূহের অনুসারীদের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইসলামের ইতিহাসে ৬১ হিজরি তথা ৬৮০ খ্রিস্টাব্দের দশই মহররম। [২]
আশুরা কত তারিখ ২০২২ | মহরম কত তারিখে ২০২২ | আশুরা ২০২২ কত তারিখে
আপনারা অনেকে জানেন না! যে এ বছর মহররম মাসে আশুরা কত তারিখে পালিত হবে। আর তাই আজকের এই পোস্টে আশুরা মহররম মাসের ১০ তারিখ কবে উল্লেখ করা হয়েছে। এবছর আশুরা পালিত হবে আগস্ট মাসের ০৯ ই তারিখ বা মঙ্গলবার ।
মহরম ছুটি কত তারিখে ২০২২ | মহরম কত তারিখে হবে
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর থেকে চাঁদ দেখা কমিটি মহরম মাসের আশুরার দিন তারিখ ঠিক করেছে। যার জন্য মহরম মাসের আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি কত তারিখে নির্ধারিত হবে তা প্রকাশ পেয়েছে। আগস্ট মাসের ১০ ই তারিখ রোজ: বুধবার মহরম মাসের আশুরা উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
![]() |
আশুরাররোজা কয়টি রাখতে হবে |
আরো পড়ুন : মাহে রমজান কত তারিখে 2023
আশুরার আমল ও ফজিলত
আশুরার রোজা সব নবী-রাসুলের আমলেই ছিল। নবীজি (সা.) মক্কা মুকাররমায় থাকতে আশুরার রোজা পালন করতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে দেখতে পেলেন, ইহুদিরাও এদিনে রোজা রাখছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) জানতে পারলেন, এদিনে মুসা (আ.) সিনাই পর্বতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত লাভ করেন। এদিনেই তিনি বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কয়েদখানা থেকে উদ্ধার করেন এবং এদিনেই তিনি বনি ইসরাইলদের নিয়ে লোহিত সাগর অতিক্রম করেন। আর ফেরাউন সেই সাগরে ডুবে মারা যায়। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ইহুদিরা এদিন রোজা রাখে। মহানবী (সা.) বললেন, মুসা (আ.)–এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তাদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ। অতঃপর তিনি মহররমের ৯-১০ অথবা ১০-১১ মিলিয়ে দুটি রোজা রাখতে বললেন, যাতে ইহুদিদের সঙ্গে সাদৃশ্য না হয়। দ্বিতীয় হিজরিতে রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হলে আশুরার রোজা নফল হয়ে যায়। তবে রমজানের রোজার পর আশুরার রোজা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। এ মাসের নফল রোজা ও অন্যান্য ইবাদত রমজান মাস ব্যতীত অন্য যেকোনো মাস অপেক্ষা উত্তম। (মুসলিম ও আবুদাউদ)
রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী আল্লাহ তাআলা এর অসিলায় অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘রমজানের রোজার পর মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ, যেমন ফরজ নামাজের পরে শেষ রাতের তাহাজ্জত নামাজ সবচেয়ে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন।’ (তিরমিজি ও মুসনাদে আহমাদ)।
উম্মুল মুমিনিন হজরত হাফসা (রা.) বলেন, রাসুলে আকরাম (সা.) চারটি কাজ জীবনে কখনো পরিত্যাগ করেননি। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, আইয়ামে বিদের রোজা, ফজর ওয়াক্তে ফরজের আগে দুই রাকআত সুন্নত নামাজ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিনে পরিবারের ব্যয় বৃদ্ধি করবে, ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করবে; আল্লাহ তাআলা সারা বছরের জন্য তার প্রাচুর্য বাড়িয়ে দেবেন।’ বিশিষ্ট তাবিয়ি হজরত সুফিয়ান ছাওরি (র.) বলেন, ‘আমরা এটি পরীক্ষা করেছি এবং এর যথার্থতা পেয়েছি।’ (মিশকাত: ১৭০; ফয়জুল কালাম: ৫০১, পৃষ্ঠা: ৩৪৯; বায়হাকি ও রাজিন)
- আরো পড়ুন > জুময়ার নামাজের স্পেশাল আমল