যিনা বা ব্যভিচার কি - যেনা ব্যভিচারের শাস্তি কি যেনা কি - jhina ki

 যিনা বা ব্যভিচার কি - যেনা ব্যভিচারের শাস্তি কি 

যিনা বা ব্যভিচার কি - যেনা ব্যভিচারের শাস্তি কি   যেনা কি
যেনা ব্যভিচার থেকে বাচার উপায়

যেনা কি 

ব্যভিচার কি 

যিনা বা ব্যভিচার বলতে বুঝায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধন ছাড়া অবৈধ পন্থায় যৌন তৃপ্তি লাভ করাকে। ইসলামী শরীয়াতে অবৈধ পন্থায় যৌন সম্ভোগ সম্পূর্ণ হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

# রাসূল (সা) বলেছেন, ‘মানুষ তার সমগ্র ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে জিনা করে। দেখা হচ্ছে চোখের জিনা,ফুঁসলানো কণ্ঠের জিনা, তৃপ্তির সাথে কথা শোনা কানের জিনা, হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের জিনা, কোনো অবৈধ উদ্দেশ্যে পথ চলা পায়ের জিনা, এভাবে ব্যভিচারের যাবতীয় ভূমিকা যখন পুরোপুরি পালিত হয়, তখন লজ্জাস্থান তার পূর্ণতা দান করে অথবা পূর্ণতা দান থেকে বিরত থাকে’ (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)।


যিনা কবিরা গুনাহ যা তাওবাহ ব্যাতিরেকে মাফ হয় না। কুরআন শরীফে বলা হয়েছে, ”লা তাকরাবাল যিনা” যার অর্থ “তোমরা যিনার ধারে-কাছেও যেও না। ”

যেনা কত প্রকার ও কি কি

যিনা বিভিন্ন প্রকার হ’তে পারে। নিজের স্ত্রী বা দাসী ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করাকে যৌনাঙ্গের যিনা বলে। এছাড়া চোখের যেনা হচ্ছে মাহরাম ব্যতীত অন্য মহিলার দিকে কামনার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। মুখের বা জিহবার যেনা হচ্ছে কামভাবে কথা বলা (বুখারী, ফাতহুল বারী হা/৬২৪৩, ১১/৩০)।


যেনা ব্যভিচারের শাস্তি

ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ’ ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি।

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। ’ –সূরা নূর: ২

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশ’ বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড)। ’ (সহিহ মুসলিম)


যেনা ব্যভিচার থেকে বাচার উপায়

আজকাল প্রযুক্তির যুগে অনেক মানুষ ঐ যেনা ব্যভিচার ও অশ্নিলতার মধ্যে আসক্ত । আর নিচের হাদিসে বর্ণিত দোয়াটির নিয়মিত আমলের ফলে দুনিয়ার সব নিকৃষ্ট কাজ যেমন- পর্নোগ্রাফি, অশ্লীলতা, চারিত্রিক কামনা-বাসনা, পরনারীর প্রতি কুদৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে থাকা যাবে। হাদিসে উল্লেখিত দোয়াটি নামাজের সেজদায় বেশি বেশি পড়াই সর্বোত্তম। আর তাহলো-

আরও পড়ুন > জুময়ার নামাজের নিয়ত 

হজরত যিয়াদ ইবনে ইলাক্বাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি)


আরো পড়ুন > জুময়ার নামাজের স্পেশাল আমল 

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form